সকালে ঘুম থেকে উঠে চা চাই। দিনের কাজ শুরু করার আগে এক কাপ চা চাই। অনেক ক্ষণ এক ভাবে বসে কাজ করছেন, একঘেয়েমি কাটাতে চা চাই। জরুরি মিটিং? ‘চল এক কাপ চা খেতে খেতে কথা বলি’। অফিসে বন্ধু, সহকর্মীর ডাক, ‘চা হবে নাকি?’ সঙ্গে সঙ্গে তাতে সাড়া। দিনের শেষে সব কাজ সারা হলেও এক কাপ চা খেয়ে আরাম পেতে মন চায়। চা-প্রেমী অফিসযাত্রীরা কেউ কেউ রাতে বাড়ি ফিরেও এক কাপ চা খান। মোট কথা চা ব্যস্ত কিম্বা অলস জীবনের পরতে পরতে জড়িয়ে। সেই চা কি শরীরের ক্ষতি করতে পারে?
যাঁরা ভুক্তভোগী, যাঁরা সারাদিন অম্বল-গ্যাস-বদহজম-পেটের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা জানেন কোনও কোনও দিন চা একটু বেশি খাওয়া হয়ে গেলে শরীর কী ভাবে জানান দেয়। অথচ তার পরেও চা খাওয়ায় খুব বেশি রাশ টানতে পারেন না। চলতে থাকে কাপের পর কাপ চা। পুষ্টিবিদ রুজুতা দ্বিবেকর বলছেন, সেই অভ্যাস আখেরে শরীরের বিপদই বাড়িয়ে দিচ্ছে।
কথায় আছে কোনও কিছুই বেশি ভাল নয়। আপাত নিরীহ চা-ও ব্যতিক্রম নয়। রুজুতার বক্তব্য, চা প্রকৃতিগতভাবে অ্যাসিডিক। পাশাপাশি, এতে আছে সক্রিয় কিছু জৈব উপাদান। যা হজমের প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই রুজুতা বলছেন, “যাঁরা খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে রুটিন মেনে চলেন, তাঁদের দিনে ২-৩ কাপের বেশি চা খাওয়া উচিত নয়।” এর পাশাপাশি যাঁরা ঘন ঘন চা খেতে অভ্যস্ত, তাঁদের চা খাওয়ার কিছু নিয়মও বলে দিয়েছেন রুজুতা।
১। সকালে খালি পেটে চা নয়: ঘুম থেকে উঠে চা খাওয়ার চল অধিকাংশ ভারতীয় পরিবারেই আছে। অনেক বাড়িতে আবার ব্যাপারটা সকালে উঠে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিনিট দশেক এক সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগও। খবরের কাগজ পড়তে পড়তে হালকা কথাবার্তা। সারা দিন যে যার কাজে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ার আগে একটু একসঙ্গে থাকা। রুজুতা বলছেন, ‘‘সেই রেওয়াজে রাশ না টেনেই চা খাওয়ার অভ্যাসটা বদলান। কারণ খালি পেটে যা খেলে হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ, এমনকি, শ্বাসপ্রশ্বাসের হার বেড়ে যায়। দুর্ভাগ্যবশত তাকে আমরা ঘুমের ঘোর কাটা ভেবে ভুল করি। কিন্তু আদতে বিষয়টি ক্ষতি করে শরীরের।’’ রুজুতার পরামর্শ এর বদলে সকালে এক সঙ্গে বসে খালি পেটে একটি ফল খান। তাজা ফল। রস বার করে নয়। তাতে অনেক বেশি উপকার। অথবা ঈষদুষ্ণ জলও খেতে পারেন চায়ের বদলে।
২। চায়ের সঙ্গে কী খাবেন না: এর পরে দিনের যে সময়েই চা খান, তার সঙ্গে নোনতা খাবার যেমন পকোড়া, চানাচুর, নোনতা বিস্কুট বা যেকোনও বিস্কুট, চিপস, আলুভাজা, তেলেভাজা, ইত্যাদি খাবেন না। রুজুতা বলছেন, ‘‘আমি জানি, চায়ের সঙ্গে গরম গরম পকোড়া খেতে কেমন লাগে। কিন্তু যতই ভাল লাগুক, এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই যে, এটা হজমে সমস্যা তৈরি করতে বাধ্য।’’ চায়ের সঙ্গে ময়দা, চিনি আর নানারকম অস্বাস্থ্যকর তেল দিয়ে তৈরি বিস্কুটও খাওয়া অস্বাস্থ্যকর বলে জানাচ্ছেন রুজুতা। তিনি বলছেন, ‘‘হার্টের সমস্যা বা ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলে এই অভ্যাস অবিলম্বে এড়িয়ে চলা দরকার।’’
৩। কোন সময়ের পর চা আর খাবেন না: বিকেল ৪টের পর চা খেতে বারণ করছেন রুজুতা। তিনি বলছেন, চায়ে থাকা ক্যাফিন আমাদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। তাই ঘুমনোর অন্তত ৬ ঘণ্টা আগে ক্যাফিন বন্ধ করা উচিত। সেই হিসাবে যিনি রাত দশটায় ডিনার করে ঘুমোতে যান। তিনি শেষ চা খাবেন বিকেল ৪টেয়।
যাঁরা ভুক্তভোগী, যাঁরা সারাদিন অম্বল-গ্যাস-বদহজম-পেটের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা জানেন কোনও কোনও দিন চা একটু বেশি খাওয়া হয়ে গেলে শরীর কী ভাবে জানান দেয়। অথচ তার পরেও চা খাওয়ায় খুব বেশি রাশ টানতে পারেন না। চলতে থাকে কাপের পর কাপ চা। পুষ্টিবিদ রুজুতা দ্বিবেকর বলছেন, সেই অভ্যাস আখেরে শরীরের বিপদই বাড়িয়ে দিচ্ছে।
কথায় আছে কোনও কিছুই বেশি ভাল নয়। আপাত নিরীহ চা-ও ব্যতিক্রম নয়। রুজুতার বক্তব্য, চা প্রকৃতিগতভাবে অ্যাসিডিক। পাশাপাশি, এতে আছে সক্রিয় কিছু জৈব উপাদান। যা হজমের প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই রুজুতা বলছেন, “যাঁরা খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে রুটিন মেনে চলেন, তাঁদের দিনে ২-৩ কাপের বেশি চা খাওয়া উচিত নয়।” এর পাশাপাশি যাঁরা ঘন ঘন চা খেতে অভ্যস্ত, তাঁদের চা খাওয়ার কিছু নিয়মও বলে দিয়েছেন রুজুতা।
১। সকালে খালি পেটে চা নয়: ঘুম থেকে উঠে চা খাওয়ার চল অধিকাংশ ভারতীয় পরিবারেই আছে। অনেক বাড়িতে আবার ব্যাপারটা সকালে উঠে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিনিট দশেক এক সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগও। খবরের কাগজ পড়তে পড়তে হালকা কথাবার্তা। সারা দিন যে যার কাজে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ার আগে একটু একসঙ্গে থাকা। রুজুতা বলছেন, ‘‘সেই রেওয়াজে রাশ না টেনেই চা খাওয়ার অভ্যাসটা বদলান। কারণ খালি পেটে যা খেলে হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ, এমনকি, শ্বাসপ্রশ্বাসের হার বেড়ে যায়। দুর্ভাগ্যবশত তাকে আমরা ঘুমের ঘোর কাটা ভেবে ভুল করি। কিন্তু আদতে বিষয়টি ক্ষতি করে শরীরের।’’ রুজুতার পরামর্শ এর বদলে সকালে এক সঙ্গে বসে খালি পেটে একটি ফল খান। তাজা ফল। রস বার করে নয়। তাতে অনেক বেশি উপকার। অথবা ঈষদুষ্ণ জলও খেতে পারেন চায়ের বদলে।
২। চায়ের সঙ্গে কী খাবেন না: এর পরে দিনের যে সময়েই চা খান, তার সঙ্গে নোনতা খাবার যেমন পকোড়া, চানাচুর, নোনতা বিস্কুট বা যেকোনও বিস্কুট, চিপস, আলুভাজা, তেলেভাজা, ইত্যাদি খাবেন না। রুজুতা বলছেন, ‘‘আমি জানি, চায়ের সঙ্গে গরম গরম পকোড়া খেতে কেমন লাগে। কিন্তু যতই ভাল লাগুক, এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই যে, এটা হজমে সমস্যা তৈরি করতে বাধ্য।’’ চায়ের সঙ্গে ময়দা, চিনি আর নানারকম অস্বাস্থ্যকর তেল দিয়ে তৈরি বিস্কুটও খাওয়া অস্বাস্থ্যকর বলে জানাচ্ছেন রুজুতা। তিনি বলছেন, ‘‘হার্টের সমস্যা বা ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলে এই অভ্যাস অবিলম্বে এড়িয়ে চলা দরকার।’’
৩। কোন সময়ের পর চা আর খাবেন না: বিকেল ৪টের পর চা খেতে বারণ করছেন রুজুতা। তিনি বলছেন, চায়ে থাকা ক্যাফিন আমাদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। তাই ঘুমনোর অন্তত ৬ ঘণ্টা আগে ক্যাফিন বন্ধ করা উচিত। সেই হিসাবে যিনি রাত দশটায় ডিনার করে ঘুমোতে যান। তিনি শেষ চা খাবেন বিকেল ৪টেয়।